সমাস শেখার সহজ উপায়
সমাস মানে সংক্ষেপ,মিলন,একাধিক পদের এক পদি করণ। অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শদ্বের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শদ্ব গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। যেমন- দেশের সেবা = দেশসেবাসমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাস নিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ।
সমস্ত পদ বা সমাস বদ্ধ পদটির অন্থর্গত পদগুলোকে সমস্যামান পদ বলে।
সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ কে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ কে বলা হয় পরপদ বা উত্তরপদ।
সমস্তপদকে ভেঙ্গে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য,ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহবাক্য।যেমন- রাজা ও সিংহাসন এখানা রাজা পূর্বপদ এবং সিংহাসন পরপদ।
সমাস সাধারণত ৬ প্রকার।
১. দ্বন্দ্ব ২. কর্মধারয় ৩. তৎপুরুষ ৪. বহুব্রীহি ৫. দ্বিগু ও ৬. অব্যয়ীভাব সমাস।
দ্বন্দ্ব সমাস
যে সমাসের প্রত্যেকটি সমস্যা মান পদের অর্থ প্রধান্য থাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
যেমন তাল ও তমাল = তালতমাল
দ্বন্দ্ব সমাসে সাধারণত ও,এবং, আর ইত্যদি ব্যাবহৃত হয়।
ও, এবং, আর যদি পূর্বপদ ও পরপদের মাধে এ তিনটি শদ্ব থাকলে বুঝতে হবে এটা দ্বন্দ্ব সমাস।
অলুক দ্বন্দ্ব সমাস -- যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যামান পদের বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: দুধে-ভাতে। জলে-স্থলে ইত্যাদি।
* তিন বা বহু পদে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয় তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- পা-নাক-কান-মুখ-চোখ ইত্যাদি।
বাকি গুলো পরবর্তী পর্বে আলোচিত হবে।
relative posts
সমাস শিখুন একদম সহজ নিয়মে ( পর্ব--২)
সমাস শিখুন একদম সহজ নিয়মে ( পর্ব -১)
Reviewed by Rubel Tech
on
August 20, 2016
Rating: